অবহেলি_ছেলেটি_আজ_বড়লোক_(সিজেন-২)
লেখক : মেহেদি হাসান
2 st part
কলেজ থেকে বাসার দিকে যাবো। তেমন সময় কে যেন আমার পিছনে সার্টের কলার্ট ধরেছে।পিছনে তাকিয়ে দেখি সাবিয়া।তখনি মনে পরলো সে আমাকে তো ছুটির পর দেখা করতে বলেছিল।কিন্তু সেটা তো আমার মনে ছিলো না।জানি না এ মেয়ে আমাকে কি করবে।যেহেতু রাগি আর তার কথা শুনিনি।
সাবিয়া : কি রে তোকে যে বলেছিলাম ক্লাস শেষে আমার সাথে দেখা করবি।
আমি : দুংখিত আমার মনে ছিলো না।আমি ভুলে গেছিলাম।
সাবিয়া : জানিস তোর এই ভুলের জন্য আমি কি শাস্তি দিতে পারি।
(ক্লাস তো কিছু করে না শুধু গুন্ডামি)
(ক্লাস তো কিছু করে না শুধু গুন্ডামি)
আমি : আর কোনো দিন ভুলে যাবো না।আমাকে মাপ করে দিন?
(কলেজে অপমান হওয়া যাবে না।বাসাতে জানলে খুব খারাপ হবে)
সাবিয়া : যা মাপ করে দিলাম।আর শোন এখন তোকে একটা কাজ করতে হবে।পারবি তো।
আমি : জ্বী বলেন কি কাজা আমি ঠিক পারবো।
এরপর
সাবিয়া : এইনে একটা চিঠি।ওই যানে একটা আপুকে দেখতাছি তাকে গিয়ে দিবি।
সাবিয়া : এইনে একটা চিঠি।ওই যানে একটা আপুকে দেখতাছি তাকে গিয়ে দিবি।
আমি : আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি চিঠিটা নিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছি আর ওর বান্ধবি মিলে হাসতাছে।কেন হাসতাছে জানেন।কারন চিঠি টা লাভ লেটার যেটা আপুর হাতে দিলে সে আমাকে চড় মারবে।আমি তার ছোট ক্লাসে পড়ি।
কিন্তু আমার মাথায় একটা কথা ভেসে উঠলো।কালকে তাকে প্রেপোজ করেছিলাম বলে আমাকে চর মেরেছিলো।আজ আমি সেটার প্রতিশোধ নিবো।
আমি সাবিয়া দেওয়া চিঠিটা নিয়ে আপুর কাছে এলাম।
আমি :আপু আপনার জন্য একটা চিঠি ছিলো।
আপু : কি চিঠি। আর আমি তো তোমাকে চিনি না।
আমি : এই নিন চিঠি।আমি এখানে নতুন ভর্তি হয়েছি।
আপু চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকলো।কিন্তু কোনো উত্তর দিলো না।চিঠি পড়াশেষে।
আপু : আমি জানি তুমি এখানে নতুন তাই কেউ তোমাকে এই চিঠি হাতে দিয়ে পাঠিয়ে যে সেটা আমি জানি।
আমি : জ্বী আপু।
আপু : শোন আমার নাম জান্নাত আজ থেকে আমি তোমার বড় আপু কেমন।
আমি : ঠিক আছে।
কি ভাবছেন আমি একটা বোন পেয়ে গেলাম।বোন পাবার জন্য কপাল লাগে।
ওদিকে সাবিয়ারা মনে করছে আপু আমাকে চড় মারবে সেটা তারা উপভোকরবে সবাই মিলে।কিন্তু সেটা তো হলো না।তাদের সব প্লান ভেসতে দিলো আপু।তাদের মুখ এখন একটু গোমরা হয়ে আছে দুর থেকে যতটা বুজতে পারছি আর কি।
আমি আপুর হাত থেকে চিঠিটা নিলাম পরে দেখি কি লেখা আছে।আগে তো খুলে দেখিনি তাই।
প্রিয়
,,আবুলের মা
,,আবুলের মা
আশা করি ভালো আছো।তুমি না দেখতে মুলার মতো সাদা।তবে তুমি বেশ টমেটোর মত লাল।তোমার চোখ গুলো জিলাপির মতন।আর হা তোমার ওই ঠোঠ দুটো মিষ্টি কুমরার মত ইত্যাদি।
এই সব লেখা পরে আমার মাথায় রক্ত উঠার মতন।তাই আপুকে বলাম আর সাথে একটু আসতে পারবে কি।
আমি আগে আপু পিছনে আসতাছে।সাবিয়ার সামনে এসে।
আমি : ঠাস,ঠাস,ঠাস,ঠাস, চরটা চর হেকে দিলাম।
পুরু ক্যাম্পাসের সবাই হা করে তাকিয় আছে সাবিয়ার দিকে।কালকে সবাই এইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো মনে পরে।
তারপর আমি বলা শুরু করলাম : তুমি কি ভেবেছো তোমার দেওয়া চিঠি পড়ে আপু আমাকে চড় মারবে আর তুমি এখান থেকে মজা নিবে।কিন্তু সেটা হয়নি।আমি তাহার ভাই হয়ে গেছি।
তুমি এই সব কি লেখেছো।মনে তো হয় না পড়াশুনা করও।শুধু কলেজে এসে বাবার টাকা শেষ করও আর আমাদের মতো ছেলেদের রেগিং করও।কি ভাবছো তুমি তোমার বাবা টাকা ওয়ালা, বড় লোক তার জন্য আমাদের তোমাকে ভয় পেতে হবে।শোন তোমার মতো টাকা ওয়ালেদের কলেজে কোন দাম নাই।আর যদি কাল থেকে ভালো ভাবে পড়াশুনা করতে হয় কলেজে আসবে।তা না হলে আসবে না।এটা আমার কথা না কলেজের সবার কথা।
তুমি এই সব কি লেখেছো।মনে তো হয় না পড়াশুনা করও।শুধু কলেজে এসে বাবার টাকা শেষ করও আর আমাদের মতো ছেলেদের রেগিং করও।কি ভাবছো তুমি তোমার বাবা টাকা ওয়ালা, বড় লোক তার জন্য আমাদের তোমাকে ভয় পেতে হবে।শোন তোমার মতো টাকা ওয়ালেদের কলেজে কোন দাম নাই।আর যদি কাল থেকে ভালো ভাবে পড়াশুনা করতে হয় কলেজে আসবে।তা না হলে আসবে না।এটা আমার কথা না কলেজের সবার কথা।
আমার কথা শেষ করার পর সবাই হাত তালি দিচ্ছে এমন কি স্যারেরাও।আর সাবিয়া মাথা নিচু করে গালে হাত দিয়ে দ্বারিয়ে আছে।সাথে বান্ধবিও রাও।
মনে পরে কালকে আমাকে এমন ভাবে রেখেছিলে আজ আমি তোমাকে এমন ভাবে অপমান করলাম।
সাবিয়া তার বান্ধবিদের সাথে করে গালে হাত দিয়ে কলেজ থেকে চলে গেল।আমি না পারে বাসার দিকে আসলাম আপুকে বিদাই জানিয়ে।
ওদিকে সাবিয়া বাসাতে গিয়ে রাগে বাঘ হয়ে আছে।ওর বান্ধবিরা নানান কথা বলতাছে।
মৌ : কিরে ভাবিয়া এখন কি করবি ভাবছিস নাকি আ্ংকেল কে বলবো।
সাবিয়া : না থাক বাবাকে বলা যাবে না।আমার ম্যাটার আমি সামলে নিবো।
মৌ : তাহলে কি করবি এখন??
সাবিয়া : সেটা কাল থেকেই দেখতে পাবি কি করি আমি।আর ওই মিথেনের বাচ্চা কে কি করি।
এদিকে আমার তো কেউ কোনো খবরি নেয় না বাসাতে। আর হা আপনাদেের বলি আমাকে সবাই কেন দেখতে পায় না।
গত ১ মাস আগে আমাে ভাবির বাপের বিয়ে বাড়িতে গেছিলাম। সেখানে ভাবির ছোট বোন আমাকে প্রেপোজ করে ছিলো।আমি রাজি হই নাই।পরে সে আমার রুমে ঢুকে চিলান ছাড়ের আর ঐই বাসার সবাই আসে।আমি নাকি তাকে জোে করে কিস করতে চাইছিলাম।তার শরিরে নাকি হাত দিতে চেয়ে ছিলাম।
এই রকম একটা মিথা কথা বলে আমাকে ফাদে ফেলে। আর আমার পরিবার সেটা সতি বুজে নেয়।আমার কথা কেউ শোনেনি।এর পর থেকেই কেউ আমাকে দেখতে পারে না।
গত ১ মাস আগে আমাে ভাবির বাপের বিয়ে বাড়িতে গেছিলাম। সেখানে ভাবির ছোট বোন আমাকে প্রেপোজ করে ছিলো।আমি রাজি হই নাই।পরে সে আমার রুমে ঢুকে চিলান ছাড়ের আর ঐই বাসার সবাই আসে।আমি নাকি তাকে জোে করে কিস করতে চাইছিলাম।তার শরিরে নাকি হাত দিতে চেয়ে ছিলাম।
এই রকম একটা মিথা কথা বলে আমাকে ফাদে ফেলে। আর আমার পরিবার সেটা সতি বুজে নেয়।আমার কথা কেউ শোনেনি।এর পর থেকেই কেউ আমাকে দেখতে পারে না।
আগামীকাল :
কলেজে গিয়ে দেখি।
কলেজে গিয়ে দেখি।
"
"
"
চলবে কি
"
"
চলবে কি
Comments
Post a Comment