অবহেলিত ছেলেটি আজ বড়লোক ( সিজেন_২)
লেখক :মেহেদি হাসান
3 st part
পরের দিন কলেজে গিয়ে আমি একদম চমকে গেলাম।এ আমি কাকে দেখতাছি।এটা সাবিয়া নাকি অন্য কেউ।অবাক হওয়ারি কথা।যে মেয়েকে কোনো দিন মর্ডান ড্রেস ছাড়া কলেজে আসতে একদিনও দেখিনি।সে কি না আজ শাড়ি পড়ে আসতাছে।
সত্তি বলতে সাবিয়াকে অনেক অনেক সুন্দর পরির মতো লাগতাছে।আমি নিজে আরও একবার প্রেমে পড়ে গেলাম।কিন্তু প্রেমে পড়ে কোনো লাভ নাই।আমি একটা ক্ষেত্র আমার সাথে কে বা প্রেম করবে।সেদিন প্রেপোজ করে যে অপমানটি করেছে। তা আজও মনে আছে।
একটু পর আর তাকে দেখা হলো না।কই যেন মিলিয়ে গেল।কিন্তু তাতে আমার কি।তখনি আপু
,,,,,,কি খবর মিথেন এমন করে কাকে দেখছিস।
'''''কি যে বলেন আপু কাকে দেখবো।
,,,,,হুম ভালো চল ওদিকে গিয়ে বসি।
আমি আপুর সাথে ক্যাম্পাসের এক সাইটে গিয়ে বসলাম আপু আর আমি কিন্তু ওদিকে এক পাশে তাকিয়ে দেখি সবিয়া।কিন্তু ওদিকে লক্ষ করা যাবে না।আপু আমার পরিচয় জানতে চাইলো।
,,,,আচ্ছা তোর তো পরিচয়টা আমাকে এখনো দিসনি।
,,,,,,আমি কি পরিচয় দেব বলো।আমি যে একটা ক্ষেত।
,,,,,শোন আমি না তোর আপু। মিথা বলবি না।
,,,,,আসলে আমি এই শহরের ব্যাবসায়ি জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
,,,,,খুব ভালো কথা।এত বড় একজন ব্যাবসায়ির ছেলে হয়ে। তুই এমন ক্ষেত হয়ে চলিস কেন।
,,,,,,সেটা অনেক বড় কথা পরে বলবো।
তখনি আমার সামনে একটি অবিশ্বাস ঘটনা ঘটে যা দেখে আপুও বটে অবাক হয়েছে।
সাবিয়া এসে আমাকে।
সাবিয়া : মিথেন তুমি আমার চোখ খুলে দিয়েছো।আমি সতি এখন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।আমি শুধু সব সময় তোমারি কথক চিন্তা করি।i love u??
আমি : শোন আমার সাথে মজা করবে না(অবাক হয়ে)
সাবিয়া : আমি তোমার সাথে কোনো মজা করতাছি না সত্তি বলছি।
সাবিয়ার এমন কথা শুনে আমি আর থাকতে পারলাম না।তাকে সোজা রাজি হলাম।ও আপুকে বিদাই জানিয়ে সাবিয়ার আর আমি ক্লাসে গেলাম।
আজ অনেক ভালো লাগতাছে কারন কেউ এই প্রথম আমাকে আপন করে নিলো।
ক্লাষ শেষ করে সাবিয়ার সাথে একটু সময় কাটিয়ে বাসাতে চলে আসলাম।
ক্লাষ শেষ করে সাবিয়ার সাথে একটু সময় কাটিয়ে বাসাতে চলে আসলাম।
আমাদের সামনে পবিক্ষা আমার কাছে এক টাকাও নেই। আমাকে তো আর কেউ টাকা দেয় না।
(আপনাদের তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।আমার এক বন্ধু আছে সানভি।ওর বাবা, মার সাথে গ্রামে বাড়াতে গেছে তাই আপাদের বলা হয়নি)
(আপনাদের তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।আমার এক বন্ধু আছে সানভি।ওর বাবা, মার সাথে গ্রামে বাড়াতে গেছে তাই আপাদের বলা হয়নি)
আমার যে কোনো সময় টাকা লাগলে সানভি দেয়।আমি ওকে বলি না তাও কেমন করে যেন বুঝে যায়।সানভি আমার পুর ঘটনা জানে।যদি বলি এত আমাকে টাকা দিস কেন??
তখন বলে তোর প্রয়োজন তাই দেই যেদি আমার লাগবে সেদিন আমাকে দিবি।আগে তুই নিজের পায় দাড়া।
কিন্তু আজ সানভিকে বলা যাবে না কারন পরিক্ষার ফি ৫০০০ টাকা।আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে কথা বলে না আজ ২মাস হয়। আমাকে কোনো পড়াশুনার খরচও দেয় না।দেখি আজ বাবাকে কথা বলে টাকা দেয় নাকি।বাবার কাছে গেলাম।
আমি : বাবা আমার একটা কথা ছিলো।
বাবা : কি বলবি বলো সময় নাই আমার। (বিরক্ত হয়ে রাগি গলায়)
আমি : আমার সামনে পরিক্ষা।৫০০০ টাকা ফি লাগতো।
বাবা : আমার এত টাকা বেশি হয়নি যে ভিক্ষা দিবো।(রাগি গলায় বলেন)
আমি তার কথা শুনে আর সামনে থাকলাম না।কারন যে নিজের ছেলেকে ফকির বলতে পারে আর কি বোঝার বাকি থাকবে।যে মিথা কথা কারনে আমাকে এত অবহেলা করতাছে তা একদিন বুঝবে।
আম্মুর কাছে গেলাম।
আমি : আম্মু আমার পরিক্ষার কিছু ফি লাগবে।
আম্মু : শোন আমার টাকার পাহার নেই যে তোকে টাকা ভিক্ষা দিবো।
সেখানেও থাকলাম না।ভাইয়ার কাছে গেলাম।
আমি : ভাইয়া আমার পরিক্ষার ফি টা একটু যদি দিতে।
ভাইয়া : শোন আমার আলগা টাকা নেই তাই তোকে দিবো যা ভাগ।
সবাই আমাকে এই ভাবে অবহেলা করলো।এত বড়লোক, কোটিকোটি টাকার মালিক হয়ে সামান্য ৫০০০ টাকা দিতে পারলো না।মানুষ তো একটা ফকির কেউ এই রকম বলে না।যেমনটি আমার বাবা মা ভাই বলো।
নিজের রুমে চলে এসে অনেক কান্না করলাম। তখনি ফোন বেজে উঠলো দেখি সানভি।
সানভি : দোস্ত তোর আমার পরিক্ষার ফি দিছি। কোনো চিন্তা করিস না।
আমি : ধন্যবাদ।
এই বলে ফোন কেটে দিলাম। সানভি জানে আমার বিষয়ে।তাই আর কিছু বলতে হলো না।
মনে হয় শহরে এসেছে।তাই খোজ জানতে পেরেছে।
এদিকে আমি খুব কান্না করতাছি কারন।
এদিকে আমি খুব কান্না করতাছি কারন।
তারা দুইমাস কোনো খবর নেইনি।এবং সাথে কি খাবার দিয়েছে সেটার জন্যও কোনো অভিযোগ করিনি।(খাবার বলতে পাতিলেে তলার পোড়া ভাত)
তাও অনেক খুশি ছিলাম।কারন আমি বড়লোকের ছেলে হলেও কোনো দাম নেই তাই বস্তির মানুষ হিসাবে।
তাও অনেক খুশি ছিলাম।কারন আমি বড়লোকের ছেলে হলেও কোনো দাম নেই তাই বস্তির মানুষ হিসাবে।
কিন্তু আজ তারা যে ব্যবহার টি করলো তাতে অনেক কষ্ট পাইছি মরে যেতে ইচ্ছা করতাছে।
রাতে কখন জানি ঘুমিয়ে পরেছি নিজেও জানি না।
রাতে কখন জানি ঘুমিয়ে পরেছি নিজেও জানি না।
এই ভাবে কয়েক দিন চলে গেল।সানভিকে সাবিয়ার কথা বলেছি।তবে সাবিয়ার সাথে কয়েক দিনে ভালোবাসা পেয়েছি।ও যেটা খাইতে চাইতো অনে দিতাম এক কথায় কেনা গোলাম এটাই ভালোবাসা সে তো আর ছেড়ে জায়নি। আগামীকাল পরিক্ষা।
"
"
চলবে কি??
"
"
চলবে কি??
Comments
Post a Comment